সিটি ব্যাংক কয়েকটি ধরনের লোন প্রধান করে তার মধ্যে রয়েছে যানবাহন লোন, পার্সোনাল লোন, হোম লোন এবং স্টুডেন্ট লোন। এই গুলো চাইলে আপনিও নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন
স্বপ্নের বাইক, কার কিংবা স্বপ্নের বাড়ি বানাতে চান তাহলে আপনিও নিতে পারেন সিটি ব্যাংক লোন। সিটি ব্যাংক থেকে বাড়ি বানানোর জন্য বা পুরাতন বাড়ি ক্রয় করার জন্য সর্বোচ্ছ ২ কোঁটি টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। এবং কার কিংবা বাইক অথবা অন্যান্য যেকোন ধরনের যানবাহন ক্রয় করার জন্য সর্বোচ্ছ ৪০ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ জরুরী লোন নিন মাত্র একদিনে
তবে এই লোন নেওয়ার জন্য আপনার অনেক গুলো যোগ্যতা থাকতে হবে এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে মাসিক ইনকাম, সরকারি চাকুরি জিবি থেকে শুরু করে কামার মালিক এবং ছোট উদ্যোক্তা অথবা বিজনেস মান সবাই এই লোন নিতে পারবেন তবে এর জন্য মাসিক ইনকাম ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা হতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে মাসিক এক লক্ষ্য টাকা আয় থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ
সিটি ব্যাংক লোন প্রকল্পের মধ্যে থাকা এই সকল লোন নিতে কি কি যোগ্যতা দরকার হবে কিংবা কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং অন্যান্য আরও আনুশাঙ্গিক বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ
সিটি ব্যাংক কয়েক ধরনের লোন প্রধান করে থাকে এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো হোম লোন, পার্সোনাল লোন এবং কার লোন।
সিটি ব্যাংক লোন এর সকল প্রকারভেদ গুলো হচ্ছেঃ
সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য যোগ্যতা
সিটি ব্যাংক লোন এর জন্য আবেদন করতে আবেদনকারীর বয়স ২২ বছর থেকে ৬৫ বছর হতে হবে।
- আপনি যদি চাকরি করে থাকেন তাহলে আপনার চাকরির বয়স মিনিমান ৬ মাস হতে হবে,
- আপনি যদি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ফ্রীলান্সার হন তাহলে মিনিমাম এক বছর পুরানো চাকরি হতে হবে,
- বিজনেস মান হলে উক্ত বিজনেস মিনিমাম ২ বছর পুরাতন হতে হবে এবং বিজনেসটি চালু থাকতে হবে,
- চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে মাসিক আয় ৪০ হাজার টাকা হওয়া লাগবে,
- চাকরিজীবী বেতিত অন্য সকল শ্রেণী পেশার মানুষের আয় প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা হলে সিটি ব্যাংক লোন নিতে পারবেন।
- সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর ক্ষেত্রে বিজনেস মান হলে মাসিক আয় এক লক্ষ্য টাকা হতে হবে,
সিটি ব্যাংক লোন পেতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
- সিটি ব্যাংক লোন আবেদনকারীর ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দরকার হবে,
- ভোটার আইডি কার্ড অথবা স্মার্ট কার্ড এর ফটোকপি,
- বিজনেস কার্ড, অফিস আইডি ফটোকপি,
- বৈধ লাইসেন্স (কার লোনের ক্ষেত্রে)
- সর্বশেষ E-TIN সার্টিফিকেট,
- সর্বশেষ বিদ্যুৎ বিলের কপি,
- আবেদনকারীর যেকোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের শেষ ৬ মাসের স্টেটমেন্ট,
- বেতন সার্টিফিকেট অথবা রশিদ,
- আবেদনকারীর নিজের বিজনেস থাকলে সেটার আয় প্রমান করতে কাগজপত্র,
- আবেদনকারী বিজনেস মান হলে শেষ এক বছরের স্টেটমেন্ট দিতে হবে,
- বিজনেস ট্রেড লাইসেন্স,
- বিজনেস মান এর ক্ষেত্রে TIN, BIN, VAT Certificate প্রয়োজন হবে,
- লোন আবেদনকারীর আয় যদি বাড়ি বাড়া থেকে আসে তাহলে শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে,
- উক্ত বাড়ির মালিকানা ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে,
যানবাহন লোন বৈশিষ্ট্য| City Bank Bike Loan
নতুন কিংবা পুরাতন যানবাহন ক্রয় করতে চাইলে City Bank Auto Loan নিতে পারবেন, অটো লোন সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ্য টাকা থেকে ৪০ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।
আপনার নতুন কিংবা পুরাতন গাড়ির মোট মূল্যের সর্বোচ্ছ ৫০ শতাংশ টাকা সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাবেন, যেমন – আপনার একটি বাইক কিনতে যদি ১ লক্ষ্য টাকা খরচ হয় তাহলে সিটি ব্যাংক আপনাকে তার ৫০% অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা লোন দিবে।
অটো লোন ১২ মাস থেকে ৭২ মাসের মধ্যে পরিশোদ করতে হয়। তবে এই লোনের সুদের হাঁর জানা জায়নি।
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন বৈশিষ্ট্য
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন সর্বোচ্ছ ২০ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে, এই লোনটি ১২ মাস থেকে ৬০ মাসের মধ্যে পরিশোদ করতে হয়।
সিটি ব্যাংক এর পার্সোনাল লোন আপনি নিজের প্রয়োজনে ব্যাবহার করতে পারবেন যেমন চিকিংসা, ট্রাভেল, আসবাবপত্র ক্রয় এবং অন্যান্য আরও অনেক ভাবে এই টাকা ব্যাবহার করতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক হোম লোন বৈশিষ্ট্য
সিটি ব্যাংক হোম লোনের জন্য ৫ লক্ষ্য টাকা থেকে ২ কোঁটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সেবা দিয়ে থাকে, এই লোনটি ১ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিশোদ করতে হয়।
আপনি যেই বাড়ি ক্রয় করার জন্য বা নির্মাণ করার জন্য লোন নিবেন সেই বাড়ির মোট খরচ যত টাকা আসবে তার ৭০% টাকা সিটি ব্যাংক হোম লোন হিসাবে প্রধান করবে। যেমন – আপনি যদি একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করতে চান এবং সেটার দাম নির্দারন করা হয় এক কোঁটি টাকা তাহলে সিটি আপনাকে এক কোঁটি টাকার ৭০% অর্থাৎ ৭০ লক্ষ্য টাকা আপনাকে লোন দিবে।
হোম লোনের নির্দিষ্ট কোন ইন্টারেস্ট রেট কোথাও খুঁজে পাওয়া জায়নি, সঠিক ইন্টারেস্ট রেট জানতে হলে সিটি ব্যাংক শাঁখায় যোগাযোগ করুন।
সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন বৈশিষ্ট্য
সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের জন্য সর্বোচ্ছ ২০ লক্ষ্য টাকা ঋণ সুবিদা দিয়ে থাকে। এই লোন ১২ মাস থেকে ১৮ মাস এর মধ্যে পরিশোদ করার শর্ত রয়েছে।
লোনের সুদের হাঁর সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত জানতে সিটি ব্যাংকের যেকোন শাঁখায় যোগাযোগ করুন।
উপসংহার
সিটি ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি, আশা করছি সিটি ব্যাংক লোন পেতে হলে যেসকল যোগ্যতা এবং ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় তা আপনাদের মাজে সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে পেরেছি।
পরিশেষে বলতে চাই, লোন দেওয়া-নেওয়া সম্পূর্ণ হারাম তাই লোন থেকে দূরে থাকুন। দুনিয়ার জীবন থেকে আখিরাতের জীবন অনেক সুন্দর এবং স্থায়ী।
FAQs
সিটি ব্যাংক লোন সুদের হাঁর
সিটি ব্যাংক লোন সুদের হাঁর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেনি, তবে তারা জানিয়েছে তাদের লোনের সুদের হাঁর একটি প্রতিযোগিতা রেট-এ রয়েছে। সঠিক সুদের হাঁর জানতে সিটি ব্যাংকে যোগাযোগ করুন 16234.
সিটি ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর
সিটি ব্যাংক লোন ক্যালকুলেট করার জন্য আপনাকে যেতে সিটি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে, তারপর আপনি যেই লোন নিতে চান সেই পেইজ সিলেক্ট করুন। যেমনঃ আপনি যদি পার্সোনাল লোন নিতে চান তাহলে Personal Loan পেইজে ক্লিক করুন, তারপর একদম নিছে গেলে দেখতে পারবেন Taking a loan? Calculate your EMI অপশন রয়েছে, সেখানে লোনের পরিমান, কিস্তির সময়সীমা ও ইন্টারেস্ট রেট দিলে আপনার মাসিক কিস্তির পরিমান দেখতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক লোন বিকাশ কি?
সিটি ব্যাংক লোন বিকাশে নেওয়া যায়না, তবে সিটি ব্যাংক পরিচালিত বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে যে লোন পাওয়া যায় সেটা নিতে পারবেন। বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত লেনদেন করতে হবে এবং উক্ত বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেশি বেশি করে টাকা জমা রাখতে হবে তাহলেই বিকাশ অ্যাপের সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।