ই পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

অনেকেই পাসপোর্ট নাম্বারা দিয়ে পাসপোর্ট চেক করতে চান, অনলাইনে ই পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করে তার তথ্য দেখা কখনো সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে সেটার ডেলিভারি স্লিপ নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি কতটুকু হয়েছে তার বর্তমান অবস্তা জানতে পারবেন। 

আপনার MRP Passport অথবা E-Passport এর অবস্তান খুব সহজেই চেক করতে পারবেন Application ID নাম্বার দিয়ে।

আরও পড়ুনঃ ই পাসপোর্ট চেক – E Passport Check 

এর মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে কি না, কিংবা আপনার জেলা পাসপোর্ট অফিসে এসেছে কি না। 

কিভাবে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করবেন জানুন বিস্তারিত। 

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক

বলা বাহুল্য যে আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কখনো পাসপোর্টএর তথ্য যাচাই করতে পারবেন, তবে ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে নতুন আবেদন করা পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্তা যাচাই করতে পারবেন। 

ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট চেক

ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থান চেক করার জন্য বাংলাদেশ পাসপোর্ট মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন,  

  • তারপর মেনুবার থেকে Check Status অপশনে যান, 
  • তারপর Online registration ID অথবা Application ID নাম্বার লিখুন, 

আপনি যদি নতুন পাসপোর্ট করার জন্য Online Registration করে থাকেন তাহলে আপনাকে একটি Online Registration ID দেওয়া হবে, আর সেটাই এখানে লিখুন। 

Application ID বলা হয় ডেলিভারি স্লিপ নাম্বারকে, তাই আপনার ডেলিভারি স্লিপে থাকা নাম্বারটি লিখুন। 

  • আপনার কাছে থাকা Online Registration ID অথবা Application ID যেটা রয়েছে সেটা লিখুন,
  • তারপর জন্ম নিবন্ধন তারিখ নির্বাচন করুন,
  • এরপর I am Human এ টিক দিয়ে Check বাটনে ক্লিক করুন। 

তাহলেই আপনার পাসপোর্টএর বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। এবং এর মাধ্যমে বুজতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে কি না। 

E Passport Status Check করলে কয়েকটি মেসেজ দেখতে পারবেন যেগুলোর মাধ্যমে বুজতে পারবেন পাসপোর্ট এর অবস্থান। 

Status অনুযায়ী পাসপোর্টের অবস্থান

Pending SB Police Clearance

আপনি পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করে যদি এই মেসেজটি দেখতে পান তাহলে বুজে নিবেন আপনার পাসপোর্ট প্রথম ধাপে রয়েছে। 

Pending SB Police Clearance এর মানে হলো আপনার থানার পুলিশ দারা আপনার ঠিকানা যাচাই এবং আপনার নামে কোন মামলা আছে কি না সেটা যাচাই করা। এবং আপনি স্থায়ী বাসিন্দা কি না সেটাও যাচাই করা হয়। 

Pending Backend Verifications

E passport Status Check করে যদি এই মেসেজ দেখতে পান তাহলে বুজে নিবেন আপনার পাসপোর্টটি দ্বিতীয় ধাপে আছে। 

Pending Backend Verifications এর মানে হলো Pending SB Police Clearance সম্পন্ন হয়েছে, এবং আপনার থানা পুলিশ আপনার সম্পর্কে তথ্য সাবমিট করেছে পাসপোর্ট অফিসের কাছে, তবে পাসপোর্ট অফিস এখনো পুলিশের সাবমিট করা তথ্য যাচাই করে ভেরিফাই করেনি। তাই এই মেসেজ দেখাচ্ছে। 

Approved by the Local Passport Office

E passport status check করার পর এই মেসেজ দেখলে বুজবেন আপনার পাসপোর্টটি তৃতীয় ধাপে রয়েছে। এই ধাপে পাসপোর্ট তৈরির কাজ করা হয়। 

Approved by the Local Passport Office এর মানে হলো আপনার পাসপোর্ট সম্পর্কে আপনার জেলা পাসপোর্ট অফিস থেকে মেইন পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে, এবং আপনার পাসপোর্ট এখন তৈরি হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই তা আপনার পাসপোর্ট অফিসে চলে আসবে।  

Passport Issued

পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার পর এই মেসেজ দেখতে পেলে বুজে নিবেন আপনার পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে এবং সেটা আপনার পাসপোর্ট অফিসে এসে পৌঁছে গেচে, তবে আপনি এখনি সেটা গ্রহন করতে পারবেন না, 

পাসপোর্ট গ্রহন করতে আপনাকে আরও ১-৩ দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। 

Your passport is ready for issuance

পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করে এই মেসেজ দেখতে পেলে বুঝবেন আপনার পাসপোর্ট গ্রহন করার জন্য পস্থত। 

এখন আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট গ্রহন করতে পারবেন, তবে পাসপোর্ট অফিসে অবশ্যই আপনার ডেলিভারি স্লিপের অরিজিনাল কপি নিয়ে যাবেন, কারণ অরিজিনাল কপি ছাড়া পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হয়না। 

পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে?

বাংলাদেশে দুই ধরনের পাসপোর্ট চলমান রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো MRP Passport, এবং অন্যটি হলো E Passport. 

MRP Passport করতে কতদিন লাগে? 

MRP Passport করতে কতদিন লাগবে তার কোন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা নেই, তবে এটি হাতে পেতে কম হলেও একমাস সময় লাগবে পারে, এবং সর্বোচ্ছ ৬ মাস থেকে ১ বছর সময়ও লাগতে পারে।

MRP Passport এর ক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্য বিষয় হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ পাসপোর্ট অফিসে MRP Passport এর আবেদন গ্রহন করা হয়না, এবং ধিরে ধিরে এটি বাংলাদেশের সকল পাসপোর্ট অফিস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

E Passport করতে কতদিন লাগে? 

বাংলাদেশ ১১৯ তম দেশ হিসাবে E Passport এর যোগে প্রবেশ করেছে এবং এর ধারাবাহিকতায় আগামীতে বাংলাদেশের সকল পাসপোর্ট E passport করার উদ্ধোগ নেওয়া হয়েছে। 

E passport করতে সর্বোচ্ছ ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে, এবং এটি সর্বনিম্ন ২ দিনের মধ্যে নেওয়া যায় তবে এক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি টাকা বা ফী পরিশোদ করার প্রয়োজন হবে। 

Regular Delivery: Within 15 Working days / 21 days

Express Delivery: Within 7 Working days / 10 days

Super Express Delivery: Within 2 Working days

এখানে দেওয়া তিনটি সময়সীমা পাসপোর্ট মন্ত্রনালয় ধাঁরা নির্ধারিত, তবে অনেক ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট সময়সীমা থেকে ৪–৫ দিন বেশি সময় লাগে। 

ডেলিভারি সময়সীমা অনুযায়ী পাসপোর্ট ফী পরিশোদ করতে হবে। 

E passport করতে কত টাকা লাগে?

e-Passport ৪৮ পেইজ এবং ৫ বছরের জন্য

  • Regular delivery: 4,025 TK
  • Express delivery: 6,325 TK
  • Super Express delivery: 8,625 TK

e-Passport ৪৮ পেইজ এবং ১০ বছরের জন্য

  • Regular delivery: 5,750 TK
  • Express delivery: 8,050 TK
  • Super Express delivery: 10,350 TK

e-Passport ৬৪ পেইজ এবং ৫ বছরের জন্য

  • Regular delivery: 6,325 TK
  • Express delivery: 8,625 TK
  • Super Express delivery: 12,075 TK

e-Passport ৬৪ পেইজ এবং ১০ বছরের জন্য

  • Regular delivery: 8,050 TK
  • Express delivery: 10,350 TK
  • Super Express delivery: 13,800 TK
Related Post
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম