অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ – বাংলাদেশ একটি নিম্ন আয়ের দেশ এবং এই দেশের সকল পেশা বা চাকরিজীবী মানুষের বেতন বা ইনকাম হয় সীমিত, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রেণী পেশার মানুষ তার কাজ সম্পাধন করতে বা একটি বেবসা শুরু করতে প্রয়োজন হয় ব্যাংক লোন নেওয়ার। সেই সাথে এখনকার বর্তমান ডিজিটাল যোগে এসে সকল কিছু মোবাইল কম্পিউটার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার ধরুন আমরা অনলাইন মোবাইল লোন পেতে চাই,
আরও পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার সহজ উপায়
আর এই বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্টান অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ চালো করেছে, যেই মোবাইল লোন অ্যাপ গুলো থেকে আপনি খুব সহজে এবং কিছু ডকুমেন্ট সাবমিট করে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ সহজ কিস্তিতে লোন
কোন কোন প্রতিষ্টান অনলাইন মোবাইল লোন দিচ্ছে এবং কি কি ডকুমেন্ট দরকার হতে পারে অনলাইন লোন পাওয়ার জন্য, অথবা কিস্তি কিভাবে দিতে হবে, সুদের হাঁর কত, তার সবকিছুই জানব এই পোষ্টে। অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে সাথেই থাকুন।
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ | Online Loan BD

অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার আগে একটি কথা বলতে চাই তা হলো, আপনারা অবশ্যই দেখে থাকবেন গুগলে কিংবা ফেসবুকের অনেক যায়গায় অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কিছু লিখা আছে, অনেক অ্যাপের নামও দেওয়া থাকে, তবে সেই অ্যাপ গুলোর প্রায় সবকটিই অনলাইন লোন প্রধান করেনা, অথবা সেই অ্যাপ গুলো কখনো আসেই নি। এবং পোষ্ট উল্লেখ করা অ্যাপের কোন লিংক বা স্ক্রীনশট দেওয়া নেই।
অর্থাৎ অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ নিয়ে লিখা অধিকাংশ পোষ্ট হয় মিথ্যা অথবা বানুয়াট।
মূলত অনলাইন লোন খুব বেশি ব্যাংক বা এনজিও গুলো দেয়না, এই রকম পর্যায়ে বাংলাদেশ এখনো জায়নি যে অনেক অনেক ব্যাংক এনজিও অনলাইনে লোন দেওয়া শুরু করবে।
তবে আমি আপনাদের মাত্র একটি অ্যাপের কথা যেটি সত্যি অনলাইনে লোন দিয়ে থাকে।
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ প্রধান করা সেরা অ্যাপ

অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ প্রধান করা সবচেয়ে সেরা অ্যাপ হলো বিকাশ, যেটি অনলাইন লোন প্রধান করার ক্ষেতে শতবাগ প্রমাণিত। তবে এই লোনটি খুবি সীমিত এবং সকল বিকাশ অ্যাকাউন্ট দিয়ে এই লোন পাওয়া যায়না।
বিকাশ অ্যাপ অনলাইন লোন বৈশিষ্ট্যঃ
- বিকাশ অ্যাপ অনলাইন লোন খুব সীমিত মাত্র ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা,
- বিকাশ অ্যাপের এই লোনটি সুদের হাঁর বাৎসরিক ৯ শতাংশ,
- এই লোনটি মূলত প্রধান করে সিটি ব্যাংক,
- এই লোনটি নিতে কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হয়না,
- আবেদন করার সাথে সাথেই লোন প্রধান করা হয়,
- এই লোনটি তিন মাসের জন্য দেওয়া হয়,
- কোন টাকা জামানত দিতে হয়না,
- কিস্তি নেওয়ার পর অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলেই অটো কিস্তি সুবিধা (অনুমতি সাপেক্ষে),
- লোন প্রসেসিং ফী ০.৫ শতাংশ,
বিকাশ অ্যাপ থেকে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় ও পরিশোদ প্রক্রিয়া

আগেই বলে নেই বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের এই লোনটি সকল গ্রাহকদের দেওয়া হবেনা, নির্দিষ্ট গ্রাহকদের এই লোন প্রধান করা হবে সর্বোচ্ছ ২০ হাজার টাকা।
- আপনি লোন পাওয়ার জন্য যোগ্য হলে বিকাশ অ্যাপের ড্যাশবোর্ড থেকে লোন মেনুতে যান,
- সেখানে আপনি লোন পরিমান ও পরিশোদ অর্থাৎ কিস্তির তারিখ দেখতে পারবেন, আপনি লোনটি নিতে আগ্রহী হলে গ্রহন করুন,
- গ্রাহক চাইলে লোন পরিশোদের নির্দিষ্ট তারিখে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে লোন কেটে নেওয়া হবে,
- গ্রাহক চাইলে নির্দিষ্ট তারিখের আগে লোন পরিশোদ করতে পারবেন, আর নির্দিষ্ট তারিখের আগে লোন পরিশোদ করলে লোনের ইন্টারেস্ট কিছুটা কমার সুযোগ রয়েছে,
- লোন পরিশোদের নির্দিষ্ট তারিখে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলে বা লোন পরিশোদ না করলে বিলম্ব ফী দিতে হবে, যা ২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
উপসংহার
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ বরাবরি বাংলাদেশের একটি হট টপিক তাই এর সুযোগ নিয়ে কিছু অস্বাদু বাক্তি ব্যাংক জামানতের নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়, এই জন্য সতর্ক হোন আর এখান থেকে জেনে নিন অনলাইন মোবাইল লোন বলতে আসলেও বাংলাদেশে কিছু হয়না।
আর মনে রাখবেন আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে বলে যে আপনি লোন পাবেন এমনটা নয়, সিটি ব্যাংক শুধু মাত্র নির্দিষ্ট গ্রাহকদের লোন দিবে।
তবে আপনি যদি লোন পাওয়ার জন্য যোগ্য না হন তাহলে বেশি বেশি করে বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারেন, এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে পারেন।