জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে নিন মাত্র একদিনে

জরুরী লোন বাংলাদেশ – অনেকে বিভিন্ন কাজের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে লোন নিতে চায় তবে অনেকেরই এই ব্যাপারে ধারণা অনেক কম, তাদের সাহায্য করার জন্যই আমাদের এই পোষ্ট, এখান থেকে আপনি আজকে জানতে পারবেন জরুরী লোন বাংলাদেশ কি এবং কোন ব্যাংক বা এনজিও জরুরী লোন প্রধান করছে এবং সেই লোন আপনি কিভাবে পাবেন সেটাও বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরও পড়ুনঃ বেকারদের দেওয়া হচ্ছে ৫ লক্ষ্য টাকা লোন পড়ুন বিস্তারিত

এছাড়াও আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন জরুরী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার জন্য তাহলে দেখতে পারবেন অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে লিখেছে যার অধিকাংশ মিথ্যা, যেমন জরুরী লোন দেওয়া ব্যাংকের তালিকায় তারা বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যাংকের নামই উল্লেখ করেছে, যা কখনো সম্বভ নয়। 

আরও পড়ুনঃ আশা এনজিও লোন পদ্ধতি ও আবেদন প্রক্রিয়া

তবে এখন আপনারা সঠিক যায়গায় এসেছেন এখান থেকে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে জরুরী লোন প্রধান করা অন্তত দুই-তিন টা ব্যাংক এবং এনজিওর হদিশ পাবেন, যাদের থেকে আপনি খুব দ্রুত জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে নিতে পারবেন। 

জরুরী লোন বাংলাদেশ কি? 

জরুরী লোন সম্পর্কে জানার আগে জরুরী লোন কি সেটা জানা অত্যন্ত জরুরী, জরুরী লোন বলতে আমরা বুজি, যেমন – একজন ব্যক্তির হঠাৎ টাকা প্রয়োজন এবং সেটা যত দ্রুত সম্বভ হাতে পাওয়া দরকার, এখন তিনি টাকার কোন বেবস্তা করতে না পেরে ব্যাংক বা এনজিও থেকে লোন নিতে চাইছেন। 

তু আমরা সবাই বাংলাদেশের ব্যাংক এবং এনজিও গুলো লোন প্রসেসিং করতে অনেক সময় নেয়, কোন কোন ব্যাংক এক মাসেরও বেশি সময় নেয়। আর সবগুলো ব্যাংক-এনজিও থেকে এমন দুই-একটি ব্যাংক-এনজিও রয়েছে যারা মাত্র ৫-৭ দিনের মধ্যে লোন প্রসেসিং করে লোন প্রধান করে। 

আরও পড়ুনঃ কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সহজ উপায়

আজকের এই পোষ্টে দ্রুত জরুরী লোন প্রধান করা সেই দুই-একটা ব্যাংক-এনজিওকে নিয়েই আমরা লিখব এবং আপনাদের অবগত করব। 

জরুরী লোন প্রধান করা ব্যাংক ও এনজিও

জরুরী লোন বাংলাদেশ প্রধান করা ব্যাংক এবং এনজিও গুলো হলোঃ

সিটি ব্যাংক – Quick Loanব্যাংক 
টিএমএসএস (TMSS)এনজিও
বিকাশ অ্যাপ লোনইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাপ

এই তিনটি ব্যাংক, এনজিও, মোবাইল অ্যাপ দ্রুত লোন প্রধানের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে সেরা মনে হয়েছে। এবং এগুলোর সাথে আমার নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে এখানে থাকা বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক লোনটি পাওয়া কিছুটা কঠিন এবং এগুলো অল্প টাকা প্রধান করে। 

এই ব্যাংক-এনজিও গুলো কত টাকা প্রধান করে? সুদের হাঁর কত একে একে সব জানব বিস্তারিত। 

আরও পড়ুনঃ সহজ কিস্তিতে লোন নিন

সিটি ব্যাংক জরুরী লোন বিস্তারিত | Quick Loan

সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় এবং সফল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক আস্থার সাথে আরও বেশি এগিয়ে যাচ্ছে, এর ধারাবাহিকতায় সিটি ব্যাংকে যাদের ফিক্সড করা রয়েছে তারা সিটি ব্যাংক থেকে যেকোন সময় চাইলেই সর্বোচ্ছ এক লক্ষ্য টাকা লোন নিতে পারবে।

সিটি ব্যাংক জরুরী লোন নিতে যোগ্যতা

সিটি ব্যাংকের জরুরী লোন এর জন্য আবেদন করতে হলে সিটি ব্যাংকে আপনার ফিক্সড ডিপোসিট অ্যাকাউন্ট থাকা লাগবে। এই লোন সুবিধা শুধু মাত্র যাদের ফিক্সড ডিপোসিট করা আছে তাদের জন্যই। 

আপনার যদি সিটি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোসিট অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে আপনি এই লোন নিতে পারবেন না। এবং সিটি ব্যাংক এই লোনের নাম দিয়েছে Quick Loan. 

সিটি ব্যাংক Quick Loan বৈশিষ্ট্য

  • সিটি ব্যাংক থেকে সর্বোচ্ছ এক লক্ষ্য টাকা Quick Loan নিতে পারবেন,
  • সিটি ব্যাংক লোনের সুদের হাঁর FD Rate + 3%,
  • সিটি ব্যাংক Quick Loan ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে পরিশোদ করতে হয়, 
  • সিটি ব্যাংক Quick Loan প্রসেসিং ফী ০.৫% 

সিটি ব্যাংক জরুরী লোন নিতে ডকুমেন্ট ও আবেদন পক্রিয়া

যাদের সিটি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোসিট থাকার পাশাপাশি CityTouch মোবাইল অ্যাপে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারা খুব সহজে অ্যাপের মাধ্যমে Quick Loan এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

CityTouch অ্যাপে আবেদন প্রক্রিয়াঃ 

  • প্রথমে CityTouch অ্যাপের হোম পেইজ থেকে More অপশনে যান, 
  • তারপর অনেক গুলো অপশন থেকে Loan Service অপশনটি বাছাই করুন, 
  • তারপর Apply for Quick Loan অপশনে ক্লিক করুন, 
  • তারপর আপনার FD account number বাছাই করুন> এর জন্য Select FD account এ ক্লিক করে আপনার FD account বাছাই করে নিন, 
  • তারপর অ্যাকাউন্ট Title এবং Balance দিন (এটা স্বয়ংক্রিয় ভাবে ফিলাপ হতে পারে)
  • তারপর Loan Tenure (Months) অর্থাৎ কত মাসের জন্য লোন নিতে চান সেটা বাছাই করুন, 
  • তারপর Loan amount নির্বাচন করুন, এর জন্য Select Amount এ ক্লিক করে আপনি কত টাকা লোন নিতে চান সেটা নির্বাচন করুন, (সর্বোচ্ছ এক লক্ষ্য টাকা)
  • Loan Amount নির্বাচন করার পর Interest rate, EMI Amount, Loan Processing Fee, Vat – এই চারটি বিষয় দেখতে পারবেন, 
  • তারপর Monthly Income অপশনে আপনার মাসিক ইনকাম লিখুন, 
  • NID no অপশনে আপনার ভোটার আইডি কার্ড লিখুন, 
  • Smart Card No অপশনে আবারও আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার লিখুন, 
  • eTIN অপশনে আপনার TIN সার্টিফিকেট নাম্বার লিখুন, 
  • Permanent Address অপশনে আপনার ঠিকানা লিখুন, 
  • Select Birth place অপশনে ক্লিক করে আপনার জন্ম স্থান নির্বাচন করুন, 
  • Select Profession অপশনে ক্লিক করে আপনি কি কাজ করেন সেটা নির্বাচন করুন, 
  • Operative Account অপশনে ক্লিক করে Account নির্বাচন করুন, 
  • তারপর OTP Code এসএমএস অথবা ইমেইল এর মাধ্যমে রিসিভ করে সেটা সাবমিট করুন তাহলেই Quick Loan এর জন্য আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। 

এভাবে সিটি ব্যাংক Quick Loan এর জন্য আবেদন করার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লোন পেয়ে যাবেন। 

টিএমএসএস TMSS NGO জরুরী লোন বিস্তারিত

টিএমএসএস থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার খুব বেশি কাগজপত্রের দরকার নেই, তবে আপনি ঋণ পরিশোদ করতে পারবেন এমন কোন বৈধ মাধ্যম দেখাতে হবে এবং সেটার ডকুমেন্ট জমা দিতে হতে পারে অথবা তাদের দেখানো লাগতে পারে। 

যেমন- আপনি লোন নিতে চান কিন্তু আপনার এই পরিশোদ করবে প্রবাসে থাকা আপনার ছেলে, এক্ষেত্রে আপনার ছেলের একামা কপি দেখাতে হবে সেটার মেয়াদ আছে কিনা দেখাতে হবে, এবং তার পাসপোর্ট এর একটা কপি জমা দিতে হবে। এবং কিছু টাকা জামানত রাখতে হবে। 

টিএমএসএস TMSS NGO জরুরী লোন পেতে যোগ্যতা

  • টিএমএসএস এনজিও থেকে লোন গ্রহন করারপর তা পরিশোদ করার মত বৈধ মাধ্যম থাকতে হবে, 
  • আপনাকে স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে, 
  • আপনাকে অবশ্যই বিবাহিত হতে হবে, এবং ঋণ আপনার স্ত্রীর নামে নিতে হবে (শুদু পুরুষদের লোন দেওয়া হয়না) 
  • তবে আপনি যদি বিবাহিত না হন তাহলে আপনার মায়ের নামে ঋণ নিতে পারবেন, 

টিএমএসএস TMSS NGO লোনের বৈশিষ্ট্য

  • টিএমএসএস এনজিও থেকে প্রথম অবস্থায় আপনি সর্বোচ্ছ দুই লক্ষ্য টাকা ঋণ নিতে পারবেন, তবে এটা সঠিক ভাবে পরিশোদ করলে পরবর্তীতে আরও বড় পরিসরে লোন নিতে পারবেন,
  • টিএমএসএস এনজিও থেকে লোন নিতে হলে ১১.৫ শতাংশ টাকা জামানত দিতে হয় যেটা লোন শেষ হওয়ার পর উঠিয়ে নিতে পারবেন অথবা শেষ কিস্তি হিসাবে কাটাতে পারবেন,
  • এক লক্ষ্য লোন নিলে ১১৫০০ টাকা জামানত দিয়ে হয়, 
  • টিএমএসএস এনজিও সুদের হাঁর একটু বেশি সেটা হলো ১৩ শতাংশ, 
  • সর্বোচ্ছ দুই বছরের মধ্যে লোন পরিশোদ করতে হবে, 

টিএমএসএস TMSS NGO লোন নিতে প্রয়োজনিয় ডকুমেন্ট

  • লোন পরিশোদ করার মত একটি বৈধ উৎস আছে তা প্রমান করতে হবে ডকুমেন্ট দেখানো লাগতে পারে বা জমা দেওয়া লাগতে পারে, 
  • আপনার ছেলে বা ভাই যদি প্রবাসে থাকে তাহলে তাদের পাসপোর্ট জমা দিয়ে এবং আকামা কার্ড দেখিয়ে লোন নিতে পারবেন, এবং এরাই বৈধ আয়ের উৎস বলে গণ্য হবে, 
  • আবেদনকারীর সাথে আরেকজন যৌথ সাব আবেদনকারী দরকার, প্রথম আবেদনকারি অবশ্যই বিবাহিত মহিলা হতে হবে, এবং দ্বিতীয় আবেদনকারী হিসাবে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ থাকতে হবে, ছেলে, ভাই, স্বামী, যে কেউ হতে পারবে, 
  • দুইজন গ্যাঁড়ান্টার লাগবে, 
  • দুইজন আবেদনকারি এবং দুইজন গ্যাঁড়ান্টার সহ সবার ভোটার আইডি কার্ড, এবং ছবি দরকার হবে। 
  • প্রথম আবেদনকারি এবং দুইজন গ্যাঁড়ান্টারের অবশ্যই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং তিন জনেরই দুটি করে চেক বইয়ের পাতা সাক্ষর সহ জমা দিয়ে হবে, 

সবকিছু জমা দেওয়ার ১-২ দিনের মধ্যে আপনার বাড়িতে একজন কর্মকর্তা এসে স্থায়িত্ব যাচাই করবে সব ঠিক থাকলে আরও দু-তিন দিনের মধ্যেই লোন পেয়ে যাবেন। টিএমএসএস লোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়। 

বিকাশ লোন পাওয়ার উপায়

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক সর্বোচ্ছ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে, আপনি যদি এই লোনের জন্য উপযোক্ত হন তাহলে আপনি তাৎক্ষনিক ভাবে বিকাশ লোন গ্রহন করতে পারবেন। 

তবে বিকাশের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের এই লোন সকল গ্রাহকে প্রধান করা হয়না, সিটি ব্যাংক নির্দিষ্ট গ্রাহকদের এই লোন সুবিধা প্রধান করে। 

বিকাশ লোন বৈশিষ্ট্য

  • বিকাশ অ্যাপ থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যায়,
  • বিকাশ লোন আবেদন করার সাথে সাথেই পাওয়া যায়, 
  • বিকাশ লোন ৩ মাসের জন্য দেওয়া হয়, 
  • বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নিতে কোন জামানত প্রয়োজন হয়না, 
  • বিকাশ লোন নিতে কোন ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র দরকার হয়না, 
  • বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলেই অটোমেটিক কিস্তি পরিশোদ হবে, 
  • বিকাশ লোন ব্যাংক প্রসেসিং ফি ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট),
  • বিকাশ লোনের সুদের হাঁর ৯ শতাংশ, 

বিকাশ লোন আবেদন প্রক্রিয়া 

বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের হোম পেইজে যান সেখান থেকে Loan মেনুতে ক্লিক করুন, সিটি ব্যাংক যদি আপনাকে ঋণ প্রধান করার জন্য আগ্রহী হয় তাহলে আপনি সর্বোচ্ছ কত টাকা লোন নিতে পারবেন তার পরিমান দেখতে পারবেন। 

  • লোন গ্রহন করতে চাইলে সম্মতি দিয়ে এগিয়ে যান বাটনে ক্লিক করে আপনার বিকাশ অ্যাপের কেওয়াইসি সিটি ব্যাংকের সাথে শেয়ার করুন। 
  • তারপর “লোন নিন” বাটনে ক্লিক করুন, 
  • তারপর “লোন আমাউন্ট দিন”, আপনি কত টাকা লোন নিতে চান এটা লিখুন (অবশ্যই সর্বোচ্ছ লোন লিমিটের মধ্যে থাকতে হবে), 
  • তারপর লোন পরিশোদের সময়সীমা ৩ মাস দিয়ে এগিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন, 
  • তারপর লোন ইন্টারেস্ট রেট সহ ব্যাংক প্রসেসিং ফী এবং প্রতিমাসে কত টাকা লোন দিতে হবে সেটাও দেখতে পাবেন, নিচের এগিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন,
  • তারপর কিছু পলিসি দেখানো হবে আপনি রাজি থাকলে সম্মতি দিন বাটনে ক্লিক করুন, 
  • তারপর আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন কোড চাইবে এবং পিন কোড সাবমিট করলেই আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে, তখন আপনি সেটা ক্যাশ আউট এবং সেন্ড মানি করতে পারবেন, 

উপসংহার

জরুরী লোন বাংলাদেশ এর মধ্যে প্রধান করা সেরা তিনটি ব্যাংক-এনজিও তুলে দরেছি আপনাদের মাজে, এই তিনটির মধ্যে বিকাশ লোন এবং সিটি ব্যাংক লোন সবাই নিতে না পারলেও টিএমএসএস এনজিও লোন সবাই খুব সহজেই নিতে পারবেন। 

যাদের সিটি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোসিট করা আছে তারা সিটি ব্যাংক থেকে জরুরী লোন নিতে পারবেন, 

এছাড়াও আপনি যদি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বেশি বেশি লেনদেন করেন এবং অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখেন তাহলে আপনি বিকাশ অ্যাপ লোনটিও নিতে পারবেন। 

পরিশেষে বলতে চাই প্রিয় ভাই-বোন, লোন দেওয়া এবং নেওয়া হারাম। তাই লোন বর্জন করুন। দুনিয়া থেকে আখিরাতের জীবন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ, দুনিয়া একটা ভ্রম মাত্র। আল্লাহ সবাইকে হেদায়ত দান করুন। 

error: Content is protected !!
Scroll to Top